ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠিতে নাবালক ছেলে-মেয়ের বিয়ের বিচ্ছেদের সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী তান্ডবে আহত ৫জন। চাঁদাবাজি, ধর্ষণসহ বহু অপকর্মের নায়ক ঝালকাঠি ডিসি অফিসের রাজস্ব শাখার এম এল এস এস পদে বর্তমানে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ভূমি অফিসে কর্মরত ও পৌর যুবলীগ সভাপতির ছেলে সন্ত্রাসী আরিফ খলিফার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এবার আরিফ বাহিনীর সন্ত্রাসী তান্ডবে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। তারা সকলেই ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি পৌরসভার তৈল ডিপো এলাকার বেরিবাঁধে ব্যবসায়ী মন্টু হাওলাদারের সাথে অবৈধ বালু মহল নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ও এক নাবালিকা দম্পতির সালিশকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী আরিফ বাহিনী ব্যবসায়ী মন্টু হাওলাদারের ওপর হামলা চালায়। এতে মন্টুসহ ছাত্রলীগের নেতা সোহেল হাওলাদার, ব্যবসায়ী শাওন, তাওহিদ, জুবায়েরসহ ৫ জন গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আহত ব্যবসায়ী মন্টু হাওলাদারের অভিযোগ, আরিফ বাহিনী তাকে মারধর করে তার ক্যাশ থেকে নগদ টাকা এবং মালামাল লুটপাট করে আরিফ ও তার লোকজন। আবার তার শ্যালক আরিফ খলিফা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকে ঝালকাঠি সুগন্ধার বালু মহলটি পৌর যুবলীগের সভাপতি আ.হক খলিফার দখলে ছিল। কিন্তু গত এক বছর থেকে হক খলিফার জামাই মো.মন্টু হাওলাদার তার লোকজন নিয়ে দখলে নিয়েছে বর্তমানে তার দখলে আছে। তারা ঝালকাঠি সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
তিনি আরো বলেন,এই আরিফ খলিফা আমার স্ত্রীর ভাই হলেও সত্য কথা বলবো, ২০১৫ সালে সুন্দরবন লঞ্চের কেবিনে এক কিশোরীর প্রেমিককে আটক করে ধর্ষন করে। উক্ত কিশোরী বাদি হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছিলো যা নিয়ে এলাকায় তোলপার হয়েছে। আরিফ খলিফা ডিসি অফিসের কর্মচারী থাকা সত্যেও এলাকায় চাঁদাবাজী থেকে শুরু করে মাদকের আস্তানা গড়ে তোলেছে। গত বছর ঝালকাঠি সদর থানার এ এস আই আহসাব ইয়াবাসহ আটক করলে তার সাথে মারামারি করে তাতেও পুলিশ এসল্ট মামলা হয়েছিলো। ৯নং ওয়ার্ডে তার বিরুদ্ধে জমিদখলসহ বহু অপকর্মের সচিত্র ঘটনা রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ আরিফ বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। ঝালকাঠি পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হক খলিফার জানায়, তার ছেলে আমিন খলিফা, আরিফ খলিফা ও সুজন হাসানসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো.খলিলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থি শান্ত করেছি। সকালে এক পক্ষ অভিযোগ রেখে গেছে শুনেছি। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Leave a Reply